মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা শহরের সীমাহানী যানজট নিরসনে নির্মাণাধীন ফোরলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদে গতকাল গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গানাসার্স মার্কেটের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চ এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মঞ্চের সদস্য সচিব অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম বাবু, ওয়াজিউর রহমান রাফেল, ময়নুল ইসলাম রাজা, মিহির ঘোষ, মনজুর আলম মিঠু, জিএম চৌধুরী মিঠু, আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, অ্যাডঃ মোস্তফা মনিরুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, মাসুদার রহমান মাসুদ, গোলাম রব্বানী মুসা, মামুনুর রশীদ রুবেল, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সওজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। রাতে ড্রেন পাকা করার জন্য চিকন (নন-গ্রেড) রড বিছানো হচ্ছে। ঢালাইকাজেও নি¤œমানের সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা তড়িঘড়ি করে রাতে কাজ করছেন। বর্ষাকালে সড়ক নির্মাণে বিটুমিনের কাজ বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম লঙ্ঘন করে যথারীতি বিটুমিনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, গত বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের ধীরগতির কারণে অর্ধ সমাপ্ত সড়কে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এবং সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক নির্মাণ প্রাক্কলন অনুযায়ী, কাজের প্রথম স্তরে (সাব-বেজ) ভালোমানের খোয়া ও বালুর অনুপাত শতকরা ৭০: ৩০, কার্পেটিংয়ের নিচের স্তরে (ডব্লিউ বিএম) ভালো মানের ভাঙা পাথর ও বালুর অনুপাত শতকরা ৭৫: ২৫, নর্দমা নির্মাণে ১২ মিলিমিটার ব্যাসের রড, ঢালাইকাজে পোর্টল্যান্ড (সিম-১) সিমেন্ট ব্যবহার এবং পাথর, বালু ও সিমেন্টের অনুপাত অবস্থাভেদে ৪: ২: ১ ও ৩:১.৫:১। কিন্তু তা যথাযথভাবে মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা শহরে যানজট নিরসনকল্পে ‘শহর চারলেন প্রকল্প’ এর আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক থেকে ডিবি রোড, পুরাতন জেলখানার মোড় হয়ে পুরাতন বাজারের পূর্বদিকের গেট পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ স¤পন্ন হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বদিকে বালাসীঘাট এবং পশ্চিমদিকে পলাশবাড়ি উপজেলা মোড় পর্যন্ত পুরাতন সড়কটি আরও সম্প্রসারিত হবে। জেলা সড়ক জনপদ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের যানজট নিরসনে ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফোরলেন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।