বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাতদিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন। উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলা প্রশাসন সাতদিনব্যাপী এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সমাপনী দিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার আয়োজনে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে ‘গাইবান্ধার সমস্যা, সম্ভাবনা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদেকুর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহমুদুল হক শাহজাদা প্রমুখ। প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত সহকারি কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মী ও ইফতেকার হোসেন।
আলোচনা শেষে গাইবান্ধা সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে টিটু কর্মকার, জ্যোর্তিময় সরকার উর্মী, নিগার নাইম তমা, পূজা মোদক, পলাশ ও খোকন এবং নৃত্য পরিবেশন করে তাসফিয়া মুস্তাবিন কাংখিতা, মাহফুজা তাহসিন তমালিকা, মুশফেক হাসান সানজিদ, মাহফুজা তাহসিন তমালিকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের সাতদিনব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয়গুলো ছিল শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, মুক্তিযুদ্ধে গাইবান্ধা ও বঙ্গবন্ধু, তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: উন্নয়নের সোপান, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ: প্রেক্ষিত উন্নয়ন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: উন্নয়ন ও অগ্রগতি, আমার গ্রাম আমার শহর এবং সপ্তম দিনের আলোচ্য বিষয় ছিল গাইবান্ধার সমস্যা, সম্ভাবনা ও উত্তরণের উপায়’।
প্রতিদিন পৌর পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে একটি নির্দিষ্ট উপজেলার আয়োজনে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা ও ওই উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক সর্বস্তরের উৎসাহী দর্শক শ্রোতা সাতদিনব্যাপী অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করে।