সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ইট দিয়ে চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। চুল্লিতে গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। চুল্লির কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জীবনপুর গ্রামে
চারপাশে শান্ত সবুজ প্রকৃতি। আশপাশে জনবসতি। আছে ফসলি জমি ও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে কয়লা তৈরির চারটি কারখানা। এসব কারখানার অধশর্তাধিক চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। চুল্লির কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। এতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এসব কারখানা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জীবনপুর গ্রামে। দীর্ঘ সময় কালো ধোঁয়া বের হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই গ্রামের হাজারো মানুষ। এতে জমির ফসল নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে জীবনপুর গ্রাম। গ্রামটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবনপুর গ্রামের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাশাপাশি তিনটি কয়লা তৈরির কারখানা। একটি প্রায় এক বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে। এখানে ১৫-১৮টি চুল্লিতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় রাজা মিয়া এই কারখানা গড়ে তুলেছেন। এ কারখানার প্রায় ৫০০ গজ দূরে আরেকটি কারখানা। এটি প্রায় দেড় বিঘা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে প্রায় ২০টি চুল্লিতে কাঠ পোড়ানো চলছে। এই কারখানার মালিক স্থানীয় বকুল মিয়া, ফুল মিয়া, সোহরাব আকন্দ ও মোঃ সুমন।
এই কারখানার ৫০০ গজ দূরে জীবনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০০ গজ দূরে তৃতীয় কারখানা। এর মালিক স্থানীয় শরিফুল ইসলাম ও মামুন মিয়া। এ কারখানায় ৮-১০টি চুল্লি রয়েছে। এসব কারখানার চারদিকে উঠতি আমন ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে এসব কারখানায় গাছের গুঁড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে।
চুল্লির কারণে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশের মানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেন, চুল্লির উচ্চতা বজায় না রাখলে কালো ধোঁয়ায় বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।