শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্ধি পরিবারগুলো। পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে ৮টি গ্রামের কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ । ডুবে গেছে কাঁচা পাকা রাস্তা, উঠতি ফসলসহ হাজারও একর আবাদী জমি। পানির স্রােতে গাড়কাটা বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ এবং কাঁচা পাকা সড়ক রক্ষায় গত তিনদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডির কর্মকর্তাগণ কাজ করছে। এছাড়াও শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শ্রীপুর কুরুয়ারবাতা বন্যা পানির সাথে তাল মিলিয়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ৪র্থ দফা বন্যায় কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, হরিপুর, বেলকা ইউনিয়ন গুলো প্লাবিত হয়েছে বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা জানান, উজানের বিভিন্ন জেলা হতে অবিরাম বর্ষনের ঢল নেমে আসার কারনে ঘাঘট নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে যায়। এতে করে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি, রামধন, পাইটকাপাড়া, কুঠিপাড়া, কাঠগড়া, নগরকাঠগড়া সর্বানন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহাবাজ, মাষ্টারপাড়া। তিনি বলেন পানিতে বামনডাঙ্গা-শঠিবাড়ি পাকা সড়কসহ ৮টি গ্রামের সকল কাঁচা রাস্তা ডুবে গেছে। এছাড়া গাড়কাটা বাঁধ ভেঙে সর্বানন্দ ইউনিয়নের ২টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ঘাঘট নদীতে পানি মাপক যন্ত্র না থাকায় সঠিকভাবে পানি বৃদ্ধির পরিমান নিরুপন করা যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান আরও জানান বিপদসীমার কমপক্ষে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে হুমকির মুখে পড়েছে নগরকাঠগড়া ব্রিজ। পানির স্রােতে যে কোন মহুর্তে ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। উপজেলা নিবার্হী অফিসার ভারপ্রাপ্ত ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাকিল আহমেদ বন্যায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন পানিবন্ধি পরিবারদের মাঝে ইতিমধ্যে ১০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি কাজ করছে।