শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে চুরি হয়ে যাচ্ছে উপজেলার গ্রামের বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত সৌর সড়কবাতি, ব্যাটারি ও স্টিলের খুঁটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও দীর্ঘ দিনেরও অকেজো বাতি মেরামত না করায় রাতের আঁধারে এসব চুরি হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে টিআর প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের গ্রামের বিভিন্ন সড়ক, মসজিদ-মন্দিরের সামনে, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অপরাধ প্রবণ এলাকায় সৌরবাতি স্থাপন করা হয়। সন্ধ্যার পরই সৌর বাতিগুলি জ্বলে ওঠে পরদিন সকালে সূর্যের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত জ্বলে থাকে। এদিকে উপজেলার বেশকিছু এলাকার সৌরবাতি অকেজো হয়ে পড়া, আবার কোনো কোনো এলাকায় ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় বাতিগুলি চুরি হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ- মহিমাগঞ্জ সড়কের মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা থেকে ৪টি, সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ সড়ক থেকে ২টি, কাটা-ফাঁসিতলা সড়ক থেকে ৩টি সৌর সড়কবাতিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সৌরবাতি, ব্যাটারি, সোলার প্যানেল ও স্টিলের খুঁটি চুরি হয়ে গেছে।
অকেজো সড়কবাতি দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় চুরি করছে মাদকাসক্ত ও ছিচকে চোরেরা।
বরাদ্দ না থাকায় মেরামত হচ্ছে না নষ্ট সৌরসড়কবাতিগুলো। বরাদ্দ পেলে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস পিআইও।
স্থানীয় বাসিন্দারারা জানায়, সৌরবাতি স্থাপন করার পর থেকে গ্রামীণ সড়কগুলো রাতে শহরের মনে হতো। এলাকায় চোরের উপদ্রুপ অনেকটা কমে এসেছিল। কিন্তু নষ্ট সড়কবাতিগুলো দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করা ও সরঞ্জাম চুরির কারণে এলাকাগুলো আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে এলাকায় বাড়ছে অপরাধ কর্মকা-। কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে সড়ক বাতিগুলি জ্বলায় থাকায় এই এলাকা অপরাধ কমে এসেছিল। কিন্তু বাতিগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন ওই এলাকায় অপরাধ বেড়েছে।
সাহেবগঞ্জ এলাকার লিটন বলেন, ঘোড়াঘাট সড়ক থেকে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এক কিালোমিটার সড়কে আগে দুটি সৌর সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে র্নির্জন এই এলাকা দিয়ে রাতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করত। যদিও মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট সড়কের মাথায় পরবর্তিতে অন্য একটি সৌর সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। সেটিও ৩-৪ মাস ধরে নষ্ট। চলাচলকারীরা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছে।
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পুরো ইউনিয়নে প্রায় ৩০-৩৫টি সৌরবাতি রয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুরি যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। চোরচক্রের সন্ধান পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।