সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে কাল বৈশাখীর প্রথম ছোবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। সেই সাথে স্বরণকালের শিলাবৃষ্টিতে ধ্বংস হয়ে গেছে কলাসহ নানা ফসল।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় হঠাৎ করেই উত্তরকোণে মেঘ জমে। কিছুক্ষণ পরেই তীব্র বাতাস বইতে শুরু করে। বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে কাল বৈশাখীতে রুপ নেয়। সেই সাথে বিশাল আকৃতির শীলা বৃষ্টি পড়তে থাকে। মূহুর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। হঠাৎ করেই শীলা বৃষ্টি ও প্রচন্ড গতির কাল বৈশাখীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগন ভীত বিহ্বল হয়ে পড়ে। চোখের সামনেই তাদের বাড়ি ঘর উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। কলার বাগান সহ কৃষি জমির ফসল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। প্রায় আধা ঘন্টা কালবৈশাখীর তান্ডব চলে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো সাপমারা ইউনিয়নের তরফকামাল, চকরহিমাপুর, মাদারপুর, রামপুর রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর, অভিরামপুর, মিয়াপাড়া, শিবপুরের সাখইল দরবস্ত ইউনিয়নের তালুকরহিমাপুর, বিশ্বনাথপুর। মাদারপুর গ্রামের সাঁওতাল পল্লী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার কোন বাড়ি-ঘরই রক্ষা পায়নি। তরফকামালের শত শত বিঘা কলার জমি ধ্বংস হয়ে গেছে। কলা চাষী রেজাউল জানালেন, সপ্তাহ খানেক পরেই তার কলা কাটা যেতো। কিন্তু শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে তার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তাকে পথে বসতে হবে। তার সব ধরণের পুঁজি কলার আবাদে বিনিয়োগ ছিল। এ অবস্থায় তিনি চোখে শর্ষেফুল দেখছেন। কলা চাষী মোফাজ্জ্বলেরও একই অবস্থা তার সকল কলা ভেঙ্গে পড়েছে। শুধু কলাই নয় পেঁপে, আম ও লিচুর গাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম ও লিচুর মুকুল ঝড়ে পড়েছে। সাঁওতাল পল্লীর সুফল হেমব্রম জানালেন, বাড়ি-ঘর হারিয়ে তিনি এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন শুধু তিনিই নন তাদের পল্লীর প্রায় শতাধিক বাসিন্দার একই অবস্থা। গোবিন্দগঞ্জ কৃষি অফিসার খালেদুর রহমানকে ফসলের ক্ষতির পরিমাণের কথা জিজ্ঞাস করা হলে তিনি জানান, এখন হিসেব আসেনি তবে ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে।