শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ বিড়ির রমরমা বাণিজ্য করে সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জন বসতী এলাকায় অবৈধ ভাবে খোলা মেলা পরিবেশে তামাক ভাঙ্গার মেশিনের শব্দ এবং তামাকের ডাষ্ট কোমল মতি ছাত্র, ছাত্রীদের চোখে মুখে ডুকে চোখ জ্বালাপোড়া, হাচি, কাশি, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্য নিয়ে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার হচ্ছে না বলছেন প্রতিবেশী জনগন। জনবসতি এলাকায় বিড়ি তৈরি ও বিক্রি করছে বিড়ি ব্যবসায়ী শহিদুল। জানা যায়, নেই পরিবেশের, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র এবং নেই বিড়ি তৈরির লাইসেন্স এবিষয়ে বিড়ি শহিদুলকে মোবাইলে ফোন করে কি ধরনের লাইসেন্স আছে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেয়। জানাযায়, গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই ভাগ্নে পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবেশের তোয়াক্কা না করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে রমরমা রিমন বিড়ি ব্যবসা। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া বাজারের চাঁদপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল সংলগ্ন চলছে তামার ভাঙ্গা, বিড়ি বানানো, তামাকের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ঐ এলাকার শিশুদের কম মুল্য দিয়ে শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করে বহুদিন ধরে অবৈধ রমরমা ব্যবসা করে আসছে।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারালেও সরকারিভাবে বিড়ি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের পদক্ষেপ। শহিদুল নামের বিড়ির মালিক একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এই ধরনের জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এই বিষয় স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে। বাজারে বিভিন্ন নামে বিড়ির লেবেল আসল না লাগিয়ে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে অবাধে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা লাভ করে চলেছে। গাইবান্ধা জেলা ব্যাপারে ভ্যাট ট্যাক্স ও কাস্টমস ডিপার্টমেন্টের বড় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করছে ব্যবসা, তাই জেনেও না জানার ভান করছেন তারা।
তামাকের ডাষ্ট এর কারনে কি ধরনের রোগ হতে পারে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন আক্তারুজ্জামান বলেন, ফুসফুসের ক্যান্সার,এ্যাজমা, নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ হতে পারে।
এবিষয়ে চাঁদ পাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন আমরা অনেক বার বলেছি ক্ষমতা দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছ আমরা অসহায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, স্কুল সংলগ্ন ও অবৈধ ভাবে বিড়ি তৈরি এবং বাজারজাত করার কোন সুযোগ নেই দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।