মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হাটবাজারগুলোতে দেদারছে কেনাবেচা হচ্ছে পলিথিন। সামান্য প্রয়োজনেও পণ্যসামগ্রী বহনের জন্য ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয় পলিথিনের ব্যাগ। কসমেটিক কিনে যেমন একটি পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যায়, তেমনি আলু, পটোল, মরিচ কিনলেও ধরিয়ে দেওয়া হয় পলিথিন ব্যাগ। আবার ওষুধ কিনেও পাওয়া যায় পলিথিন ব্যাগ। আর এই পলিথিনের ব্যাগ সামান্য ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় পরিবেশের ঝুঁকি বাড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জের গোলাপবাগ, মহিমাগঞ্জ, কোচাশহর, নাকাইহাট, কোমরপুর, বালুয়া হাট, বাগদা, ফুলপুকুরিয়া, কামদিয়া ও ফাঁসিতলা হাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন। আর বিভিন্ন দোকানে ওয়ান টাইম ব্যাগ হিসেবে বেড়েছে পলিথিনের নানা ব্যবহার। যে কারণে রাস্তাঘাট, জলাশয়, নালা ও নর্দমায় যত্রতত্র পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেক সময় ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের পর পলিথিন নদী-নালা ও জলাশয়ে ফেলে দেওয়ায় এ অপব্যবহারে যত্রতত্র পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে কারণে পরিবেশের ওপর নানা ধরনের ক্ষতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
গোলাপবাগ হাটের লবণ ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান বলেন, আগে কলাপাতা ব্যবহার করে লবণ বিক্রি করা হতো। এখন আর কলাপাতার জন্য বসে থাকতে হয় না। হাতের কাছে খুব সহজে পলিথিন পাওয়া যায়। আর তাতে গুণমান ঠিক রেখে খুব দ্রুত লবণ বিক্রি করা যায়। কালক্রমে এখন আর সে ব্যবস্থা নেই। আর তাছাড়া পলিথিনে লবণ বিক্রি করা খুব সহজ, সেজন্য এর ব্যবহারও বেড়েছে।
সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল সাত্তার বলেন, আগে সবজি ক্রেতারা ব্যাগ হাতে বাজারে আসতেন। এখন তারা খালি হাতে এসে বাজার সবজি কিনে পলিথিন ব্যাগে করে নিয়ে যান। পলিথিন দিতে না পারলে ক্রেতারা অন্য দোকান থেকে সবজি কিনে নিয়ে যান।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, পলিথিনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো, এটি ৫০০ বছরেও পচে না। কাজেই পরিত্যক্ত কৃষি জমিসহ যে কোনো মাটিতে মিশেই জমির উর্বরতার পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতিকর নানা প্রভাব ফেলে পলিথিন।