বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনে সাঘাটা ১ নং এলাকা পরিচালক শহিদুল ইসলাম, মহিলা পরিচালক স্বপনা বেগম ও স্বপনা বেগমের স্বামী সাবেক পরিচালক মুঞ্জুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প, নতুন লাইন নির্মাণ ও নতুন সংযোগ দেয়ার নামে লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ লোকজনকে হয়রানীর করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের আমদিরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে বেনজির আহম্মেদ বিজু জানান, সাবেক এলাকা পরিচালক ও ঝাড়াবর্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুঞ্জুর রহমান সেচ পাম্প দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক বছর আগে ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে এখনও সেচ পাম্প দেননি। এখন সেচ পাম্পের জন্য চাপ দিলে তিনি পরবর্তীতে পরিচালক নির্বাচিত হলে সেচের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। সেচ পাম্প দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোংলারপাড়া গ্রামের ধলু প্রধানের ছেলে রুবেলের কাছ থেকে তিন বছর আগে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে এখনও সেচ পাম্প দেননি। তাকে অনেক দিন পর ৮০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বাকী টাকা না দিয়ে হয়রানী করছেন। মহিলা পরিচাল স্বপনা বেগম নিজ নামে সেচ পাম্প উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে আমদিরপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের নিকট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পরবর্তীতে তা আবার একই গ্রামের কফিল উদ্দিনের নিকট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। নিজের নামে সেচ পাম্প উত্তোলন করে তা একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে আমিরুলের নিকট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এমনি ভাবে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে জুমারবাড়ী গ্রামের ভোমর আলীর ছেলের ইল্লোলকে সেচ পাম্প করে দেন। এদিকে পরিচালক শহিদুল ইসলাম সেচ পাম্প দেয়ার আশ্বাসে জাঙ্গালিয়া গ্রামের কাইতুল্যার ছেলে রঞ্জু মিয়া ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে হয়রানী হওয়ায় ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। হয়রানীর শিকার ঘুড়িদহ গ্রামের নইবকস জানান, সেচ পাম্প দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিচালক শহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন ১ বছর আগে, এখনও সেচ পাম্প দেননি। এছাড়াও শহিদুল ইসলাম, মুঞ্জুর রহমান ও স্বপনা বেগম পরিচালক থাকা কালীন সময়ে নতুন লাইন নিমাণের এবং সংযোগ দেয়ার নামে ও মিটার বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক পরিচালক শিক্ষক মুঞ্জুর রহমানের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে কি বলল আমি এর তোয়াক্কা করি না। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাননি তিনি। অভিযুক্ত অপর পরিচালক শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে পবিসের নির্বাচন এজন্য বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন।