সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা শহরের গাইবান্ধা ক্লিনিকে সিজারের সময় এক প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই প্রসূতি রংপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পেটে গজ থাকার বিষয়ে প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহেল মাফী। ঘটনা তদন্তে একজন নারী কনসালটেন্টকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুলাই রুমি বেগম নামের ওই প্রসূতির সিজার করেন শহরের গাইবান্ধা ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ একরাম হোসেন।
সিভিল সার্জনের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে গত ২৩ জুলাই গাইবান্ধা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডাঃ মোঃ একরাম হোসেন ওই প্রসূতির সিজার করেন। এর পাঁচ দিন পর তার শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে গাইবান্ধা ক্লিনিকের সেই চিকিৎসকের কাছে তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রুমি বেগমকে ভর্তি রেখে অপারেশন থিয়েটারে নেন তিনি। অপারেশনের পর পেট থেকে গজ বের করে তাকে একটি কেবিনে রাখেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রংপুরের নাজমা ক্লিনিকে অপারেশনের মাধ্যমে গৃহবধূর পেট থেকে ময়লা ও পচা অংশ অপসারণ করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
রুমি বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মেজবাহুল হকের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ একরাম হোসেন বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে রুমি বেগমের অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি। কিন্তু তার স্বামী আমার এখানে চিকিৎসা করতে রাজি না হওয়ায় আমি তাকে রংপুরে রেফার্ড করেছি। তারপর রোগীর স্বজনরা আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহেল মাফী জানান, এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।