সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে গাইবান্ধার মাঠপর্যায়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। এ বছরে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ঘরে তোলার লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার কৃষক-শ্রমিকরা।
সম্প্রতি সাদুল্লাপুরের ভাতগ্রাম ইউনিয়নে সমলয়ে চাষাবাদে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কর্তন উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম। মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমের শুরুতে গাইবান্ধার কৃষকরা আবহাওয়ার প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। চারা রোপণের বেশিরভাগ সময়ে খরার কবলে পড়ছিলেন। এমন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়। এরপর পানির অভাবে চরম ব্যাহত হয়েছে এই চাষাবাদ। এরই মধ্যে পোকা-ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দেয়।
এভাবে নানা ধকল সামলিয়ে আশানুরূপ ফলন ঘরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে দেশীয় জাতের ধান কাটতে শুরু করছে কৃষক। গোবিন্দগঞ্জের কৃষক সাদা মিয়া জানান, এ বছর দেড় একর জমিতে ধানের চারা রোপণের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে খরা আর বৃষ্টির পানি কম থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। কৃত্রিম সেচ দিয়ে আড়াই বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছি। এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু করা হয়েছে।
আশা করি ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব। গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ সাড়ে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, জীবন-জীবিকার জন্য গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভুট্টা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ সবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। তবে এ বছর বাড়তি খরচ মাথায় নিয়ে আমন আবাদে নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।