সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ শীত একেবারে আমাদের দুয়ারে এসে গেছে। এরই মধ্যে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। রাতে ঠান্ডা-হিমেল বায়ু আর সকালের শিশির ভেজা ঘাস-পাতাই জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে । সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিদের মহা ব্যস্ততা।
ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ। শীত এগিয়ে আসছে। যত্রতত্র অযত্ন ও অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদরও বেড়েছে। খেজুর গাছ পরিচর্যা-পরিষ্কারসহ রস সংগ্রহের উপযোগী করতে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরাও। অনেকেই আবার মৌসুম চুক্তিতে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জীবনের ঝুকি নিয়ে গাছিরা কোমরে মোটা রশি বেধে খেজুরের গাছ তৈরি শেষে রস সংগ্রহের জন্য ছোট বড় বিভিন্ন রকমের হাড়ি খেজুর গাছে ঝুলে রেখে রস সংগ্রহ শুরু করেছে। পেশাদার গাছির পাশাপাশি মৌসুমি গাছিরাও রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় বা রাস্তার ধারে রয়েছে সাড়ি সাড়ি খেজুর গাছ। সেই সব খেজুর গাছে প্রতিদিন বিকালে গাছিরা সনাতন পদ্ধতিতে খজুরের গাছ তৈরি শেষে মাটির খালি হাঁড়ী লাগিয়ে আশে। ভোরের সৃর্য্য ওঠার আগেই গাছ থেকে রসের হাঁড়ী পেরে বাড়িতে নিয়ে আশে গাছিরা। তা আবার শহরের হাট বাজারে বিক্রি করছেন।
প্রফেসর কলোনীর মোঃ সোহেল মিয়া জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই নিজেদের খেজুর গাছের সাথে গ্রামের অন্যদের খেজুর গাছ বর্গা নিয়ে বানিজিক ভাবে গুড় তৈরি করে গাছের মালিক কে ভাগ দিয়ে ও পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে গুড় বাজারে বিক্রি করে থাকি। তারা আরোও জানান, খেজুর গাছ কাটা বেশ কষ্টের হলেও সকালে রস ভর্ত্তি হাঁড়ী দেখলে সেই কষ্টের কথা ভুলে যাই তবে গুড় তৈরির উপকরন এবার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় গুড়ের দামও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন।
এক সময় দেখা যেত শীতের সকালে গাছিরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে, বাঁশের ভাঁড়ে কলস বেঁধে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করত। এছাড়াও খেজুরের রসের পিঠা পুলি লোভনীয়। শীত কালের বেশির ভাগ পিঠাই তৈরী করা হয় খেজুরের গুড় দিয়ে। বছরের এই সময়টা আসলেই দেখা যায় বাড়ি বাড়ি পিঠা পুলির উৎসবের ধুম পড়েছে। এছাড়াও খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্ভি হচ্ছে।