শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো গাইবান্ধা গাইবান্ধা জেলাতেও শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। লকডাউন বাস্তবায়নে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় মানুষদের জবাবদিহিতা নিচ্ছেলেন তারা।
গতকাল শুক্রবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহীনির সদস্যরা মাঠে অবস্থান করে । লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা মানাতে মানুষদের জরিমানা করাসহ সচেতনতা সৃষ্টি লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।
এদিকে, গত বছরের তুলনায় লকডাউন মানছে না অনেকে। তবে এ বছরের প্রথম লকডাউনের চেয়ে গত ১৪ এপ্রিল বুধবার শুরু হওয়া লকডাউন কিছুটা কঠোর ছিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গাইবান্ধা শহরে এদিন মানুষের চলাচল লকডাউনের অন্য দুই দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।
মহাসড়কে গণপরিবহন তেমন না থাকলেও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে মাইক্রোবাস, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছিল। তবে সেটি আগের তুলনায় কম। দোকানের অর্ধেক শাটার ফেলে কেনা-বেচা করতে দেখা গেছে। হাট-বাজারগুলো চলছে যত্রতত্রভাবে। নিত্যপণ্য কিনতে আসা মানুষরা তেমন স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না।
এছাড়া শহর, হাট-বাজারে বিভিন্ন দোকানপাটে শাটারের নিচ দিয়ে মানুষের ভির ছিলো লক্ষণীয়। এসময় পুলিশ কিংবা প্রশাসনের লোকজন টহলে আসলে, দোকান মালিকরা শাটার বন্ধ করে রাখে। এরপর টহল থেকে সরে যাওয়ার পরপরই দোকানের অর্ধৈক শাটার খুলে আবার কেনা-বেচা করেন ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সিএনজি-অটোরিকশা চালক বলেন, পরিবারের অন্ন জোগাতে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন বলেন, সার্বাত্নক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। তারা রাস্তা থেকে মানুষকে ঘরে ফেরাতে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারিদের জরিমানা করা হচ্ছে।