রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক প্রসূতির (২৫) মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, ভুল গ্রুপ নির্ণয় করে রক্ত দেয়ার ফলেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বেঁচে থাকা অসহায় নবজাতক শিশুটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী মিম আকতারকে গত সোমবার গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে তার সিজারিয়ান অপারেশন হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের রোগীর জন্য এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত নিয়ে আসতে বলে। এরপর দুই ব্যাগ এবি পজিটিভ রক্ত দেয়ার পর প্রসূতির অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি ঘটলে কিছুক্ষণ পর প্রসূতি মীম আকতার মারা যায়। পরে স্বজনরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে করা পরীক্ষার রিপোর্টে তারা দেখতে পায় রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। অথচ তাকে দেয়া হয়েছে এবি পজেটিভ গ্রুপের রক্ত। এতে তার মৃত্যু হলে স্বজনরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উপর চড়াও হয়।
এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই প্রসূতি মারা গেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রসূতির স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকদের উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাদের পরিবারের অনেকেরই রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। কিন্তু ডাক্তার তাহেরা আক্তার মনি এবি পজিটিভ রক্ত চাওয়ায় তারা সেই গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে দেয়। চিকিৎসক ভুল গ্রুপের রক্ত রোগীর শরীরে পুশ করার কারণে রোগী মারা গেছে।
এব্যাপারে হাসপাতালের কর্তব্যরত গাইনি চিকিৎসক ডাঃ তাহেরা আক্তার মনি জানান, অতিরিক্ত রক্তরক্ষণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্য কোন হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ হয়েছিল কিনা তা তিনি অবগত নন। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।