সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সাপমারা ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নত আধুনিক ও শিক্ষার মান উন্নয়নের কৃতিত্ব একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর -মাহমুদ হাসান রিপন এমপি সুন্দরগঞ্জে সাব প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রের বেহালদশাঃ গ্রাম গঞ্জে পশু ডাক্তারের নামে হাতুড়ে ডাক্তারের ছড়াছড়ি গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উদযাপন সাঘাটায় রেকর্ডভুক্ত জমিতে ব্রীজ নিমার্ণ কাজে বাধাঁ প্রদান করায় ঠিকাদার কর্তৃক থানায় অভিযোগ কলেজপাড়ায় পৌর নাগরিকদের সভা নলডাঙ্গায় নবীন ও বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান গাইবান্ধায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মতবিনিময় সভা গাইবান্ধায় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গোবিন্দগঞ্জে সরকারি বই বিক্রিকালে জনতার হাতে শিক্ষক-কর্মচারী আটক

গাইবান্ধায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

গাইবান্ধায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় এবার মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে খুশি চাষিরা। ধানের চেয়ে তিনগুণ বেশি ফলন পাওয়ায় মিষ্টি আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিষ্টি আলু চাষে উৎপাদন খরচ ধানের তুলনায় অনেক কম। সেই সঙ্গে ধানের চেয়ে ফলন তিনগুণ বেশি। এজন্য মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখাল বুরুজ ইউনিয়ন ও হরিরামপুর ইউনিয়নের বিষপুকুর, তালুক সোনাইডাঙ্গা, পার সোনাইডাঙ্গা, ত্রিমোহনী সেতু ঘাট এলাকার বাঙালি ও কাটাখালির নদীবেষ্টিত কয়েকটি চরে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন মাঠ থেকে আলু তুলছেন কৃষকরা। মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় তারা খুশি।
অনেকেই গরুর গাড়িতে করে জমি থেকে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন মিষ্টি আলু। আলু উত্তোলন করা কৃষকদের মাঝে করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব নেই। যে যার মতো কাজ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মিষ্টি আলু উৎপাদন হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল রশিদ বলেন, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। ৭৫-৮০ মণ মিষ্টি আলু উৎপাদন হয়েছে। ধানের চেয়ে তিনগুণ বেশি ফলন হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, গত বছর কাটাখালির নদীবেষ্টিত চরে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। অনেক কষ্টের পরও ফলন ভালো পাইনি। এ বছর মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের চেয়ে তিনগুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মাজেদ মিয়া বলেন, বালু মাটিতে মিষ্টি আলুর চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছি আমি। কারণ এই আলু জমি থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। ধানের চেয়ে লাভ বেশি।
রামনগর গ্রামের কৃষক মনতাজ আলী ও লাল মিয়া জানান, প্রতিমণ আলু জমি থেকে ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। শতকে উৎপাদন হয় তিন থেকে চার মণ। প্রতি বিঘায় উৎপাদিত আলুতে লাভ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। মিষ্টি আলুর উৎপাদন খরচ অনেক কম। এজন্য লাভ বেশি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খালেদুর রহমান বলেন, উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামীতে কৃষকদের মিষ্টি আলু চাষে মনোযোগী করতে মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করবেন। এ বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতি হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু উৎপাদন হয় ২৪ মেট্রিক টন। প্রতি হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয় ৬.৫ বা ৬.৬ মেট্রিক টন। মিষ্টি আলুতে উৎপাদন খরচ অনেক কম। পোকা-মাকড়রে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তাই পরিত্যক্ত জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করলে ধানের চেয়ে তিনগুণ লাভ হয়।
জেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যমুনা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, বাঙালি ও কাটাখালি নদীবেষ্টিত বিভিন্ন চর ও গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com