শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি থেকে এখনও পানি নেমে যায়নি। ফলে বন্যার কারণে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণকারি বন্যার্ত লোকজন তাদের গরু ছাগল নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। কারণ বিশেষ করে চরাঞ্চলে কাঁচা ঘরবাড়ি দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় অধিকাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে পানি কমতে থাকায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে হাত ও পায়ে চুলকানিসহ নানা ধরণের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার কারণে ৩৫ হাজার ৫৫১টি পরিবারের ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মধ্যে ৫১০ মেঃ টন চাল, ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপদসীমার ২২ সেঃমিঃ এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।