সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সাত উপজেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ, সেই সাথে বাড়ছে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা। করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপসহ প্যারাসিটামল গ্রুপের কয়েকটি কোম্পানির ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে জেলার ফার্মেসীগুলোতে। এদিকে চারিদিকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও যখন বাড়ছে তখন প্যারাসিটামল জাতীয় এই ওষুধ গুলোর সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের ফার্মেসীসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকান গুলোতে চাহিদার তুলনায় মিলছে না জ্বরের ঔষধ বেক্সিমকোর নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা ,নাপা ওয়ান। তবে স্কয়ারের এইচ,এইচ প্লাস, এইচ ৫০০ অনন্য কোম্পানির জ্বরের ঔষধ পাওয়া গেলেও সরবরাহ কম।
জ্বরের ঔষধ নিতে আসা মাসুম বলেন, আমার মেয়ের জ্বর আসছে তাই ঔষধের দোকানে জ্বরের ঔষধ নিতে আসলাম। এসে শুনি দোকানে নাকি জ্বরের ঔষধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
নাসির নামের আর এক ব্যক্তি বলেন, সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কি কেউ ঔষধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। কারন আমরা হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা আমাদের এসব ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কিনতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে না।
শহরের রাবেয়া ক্লিনিকের সামনে জীম ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারী ওয়াজেদ হাসান জীম জানান , জ্বরের ওষুধ এইস, এইস প্লাস, এইচ এক্স আর ট্যাবলেট, ফাস্ট, ফাস্ট এক্স আর ওষুধেরও সঙ্কট আছে। কোম্পানি যে পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করে তা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। গত ৭ থেকে ৮ দিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই কোম্পানি গুলোতে ওষুধের জন্য তাগিদ দেয়া হচ্ছে। তবে সরবরাহ না থাকায় আমাদেরও কিছু করার থাকছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেক্সিমকোর এক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, বর্তমানে ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে। যে কারনে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে এই গ্রুপের ঔষধটির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
গাইবান্ধা জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, আমরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে গত এক সপ্তাহ আগে থেকে অর্ডার দিলেও এখনো তারা ঔষধ সরবরাহ করতে পারছেনা ফলে এমন সংকট তৈরি হয়েছে ।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর এস এম ফয়েজ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফার্মেসী গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোন ফার্মেসীতে এই ঔষধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে এবং বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।