শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ আবহমান গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ও রূপের নাম নাইওর। এই নাইওর শব্দের সঙ্গে পরিচিত কম বেশি সবাই। নাইওর বলতে গ্রাম বাংলার প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে নিজ কন্যা অতিথি হয়ে আসাকে নাইওর বলে। ভাদরকাটানী নাইওর, আট- মাইয়া নাইওর, জ্যৈষ্ঠমাসে নাইওর, এমন কি প্রথম সন্তানটি বাপের ভিটায় হবে এর জন্যও নাইওর আনা হতো আগে। কবি সাহিত্যিকদের জীবন পড়লে জানতে পারি তারা বেশিরভাগই নানার বাড়িতে জন্মেছেন।
এই নাইওরকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে অনেক গল্প ও কবিতাসহ বাংলা চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। রচিত হয়েছে অনেক গান। যুগে যুগে এসব গান জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এ সম্পর্কে বিখ্যাত সেই ভাটিয়ালী গানটাতো আপনারা জানেনই তোরা কে যাসরে ভাটি গাং বাইয়া আমার ভাইধনরে কইও নাইওর নিতো আইয়া জলবায়ুর প্রভাবে নদী ও খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় নাইওর যাত্রার চেহারা বদলে গেছে। একসময় নৌকায় করে বধূর বাপের বাড়ি যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়লেও এখন আর এটি নেই বললেই চলে। আধুনিক যানবাহন বাস, কারগাড়ী, অটো, সিএনজি গাড়ীসহ বিভিন্ন আধুনিক যানবহনের আগমনে চিরায়িত সেই ঐতিহ্যরূপে গরুর গাড়ি ও কাপড়ে ঘেরা ভ্যানগাড়ী ও পালকিতে করে নাইওর যাত্রাও হারিয়ে গেছে।
তবে কালের বিবর্তনে নারীদের চিরচেনা ঐতিহ্য রূপে নাইওর যাত্রা হারিয়ে গেলেও গাইবান্ধায় হঠাৎ দেখা মিলেছে সেই চাটাই ও কাপড়ে ঘেরা ভ্যান চড়ে চিরচেনা রূপে নাইওর যাত্রার।
হঠাৎ সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় দেখা মেলে সেই চিরায়ত ঐতিহ্যরূপে চাটাই ও কাপড়ে ঘেরা নাইওরী বহণের ভ্যান। হঠাৎ এ রূপ চোখে পড়ায় ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারেননি স্থানীয় সংবাদিক আব্দুল মালেক সাজু। এসময় সাংবাদিক আব্দুল মালেক সাজু নাইওরী বহন কারী ভ্যান চালক ফরহাদের সাথে কথা বলেন। ভ্যানচালক তাকে জানান,অটোভ্যানে থাকা যাত্রী আমার সম্পর্কে দাদী তিনি আজও এ ভাবেই আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাতায়াত করেন।