শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ জমিজমা সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোড ফকিরপাড়ার মমিনুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আল আমিন গিটটু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মমিনুল ইসলামকে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এব্যাপারে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেগম উল্লেখ করেন, গত ৪ মে মমিনুল ইসলামের দখলীয় পুকুরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে জোর পূর্বক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা স্মৃতির স্বামী সন্ত্রাসী আল আমিন ওরফে গিটটু, আরিফুল ইসলাম ওরফে আরেম ও মন্তাজ মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জন বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ টন মাছ জাল দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মমিনুল ইসলাম বাঁধা দিলে হত্যার উদ্দেশ্যে উক্ত সন্ত্রাসীরা লোহার রড, শাবল, বেকি নিয়ে তাকে ধাওয়া করলে সে দৌড়াইয়া পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর একইদিন মমিনুল শহর থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সন্ত্রাসী আরেম, মন্তাজ মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জন ব্যক্তি তাদের কাছে থাকা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে। এরপর আসামি গিটটু মমিনুলকে ধারালো বেকি দিয়ে মাথায় ও বাম পায়ে চোট মেরে গুরুতর জখম করে আরেম তার বুকের বসে গলাটিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে এবং তার পকেটে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে সন্ত্রাসীরা আবার হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় মমিনুলের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় খাদিজা বেগম বাদি হয়ে গত ৭ মে সদর থানায় একটি (২০৮৮ নং) মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং মমিনুল ইসলাম ও তার পরিবার-পরিজনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মমিন বাবলু, মঞ্জিল হোসেন, আব্দুল মোত্তালেব রাজু, আব্দুল্যাহ আল মামুন, খাজা মিয়া আকন্দ, মার্জিয়া খাতুন প্রমুখ।
উল্লে¬খ্য, সন্ত্রাসী আল আমিন ওরফে গিটটু সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা স্মৃতির স্বামী হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের অপকর্ম করে আসছে। গিটটু সদর উপজেলার তুলসীঘাটে যাত্রীবাহি বাস পোড়ানোসহ বিভিন্ন ধরণের একাধিক মামলার আসামি। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রী সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় গিটটু দাদন ব্যবসাসহ নানা রকমের অপকর্ম চালিয়ে আসছে।