শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১২:০৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ পাঁচ দশ পঁচিশ পঞ্চাশ পয়সার কয়েন এবং এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার কয়েন এখনও আইনত চালু থাকলেও গাইবান্ধার হাট-বাজার বা কেনাকাটার লেনদেনে কোথাও এখন আর প্রচলন নেই বললেই চলে। এমনকি ভিক্ষুকও খুচরা পয়সা বা এক টাকার কয়েনে ভিক্ষা নিতে চায় না।
সম্প্রতি গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও পাঁচ পয়সা বা দশ পয়সার মুদ্রা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি পঁচিশ বা পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রা মিললেও সংখ্যায় তা অনেক কম। এই মুদ্রাগুলোর প্রচলন না থাকার একমাত্র কারণ হচ্ছে কেনাকাটার কোন পর্যায়েই খুচরা পয়সার প্রয়োজন পরে না। এমনকি এক টাকার কয়েন দিয়েও এখন কিছু কিছু কমদামি চকলেট ও লজেন্স ছাড়া আর কিছুই কিনতে পাওয়া যায়না। একটি খিলিপান বা ভাল চকলেট এমনকি একটি লিচু কিনতেই এখন প্রয়োজন হয় ৫ টাকা। সেজন্য ১ টাকার কয়েনের অভাবে পান দোকানিরা বিনিময়ে চকলেট দিয়ে লেনদেন সারেন অনেক সময়। গাইবান্ধার বাজারে চালু মুদ্রাগুলোর মধ্যে সব চাইতে প্রচলন বেশি রয়েছে ২ টাকা, ৫ টাকা আর ১০ টাকার কাগজের নোট। বাজারে পাঁচ টাকার কয়েনের প্রচলনও এখন বহুলাংশে কমছে।
উল্লেখ্য, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানা গেছে, অধিকাংশ শিশু ৫ পয়সা, ১০ পয়সার মুদ্রা কখনও দেখেনি শুধু বইয়ে পড়েছে বা ছবি দেখেছে। কেননা তাদের কেনাকাটায় এসব মুদ্রার কোন প্রয়োজনই পড়ে না। অল্প সংখ্যক শিশু-কিশোর ২৫ এবং ৫০ পয়সার মুদ্রা চিনলেও সেগুলো কেনাকাটায় তারা কোন কাজে লাগাতে পারে না। এদিকে শিশু-কিশোরদের ১ টাকা ও ৫ টাকার কয়েন দিলে দিলে তারা তা নিতেও চায়না, পকেটে রাখলে তা ভারি হবে এবং হাটা চলা করতে শব্দ হবে বলে তারা তা পছন্দ করে না বলে অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন।
এদিকে ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের খুচরা পয়সা না নেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সারাদিনে জমানো ভিক্ষার খুচরা পয়সাগুলো দিয়ে কোথাও কোন কিছু কিনতে গেলে দোকানদাররা তা নিতে চান না। ফলে সারাদিনের ভিক্ষায় অর্জিত খুচরা পয়সাগুলো নিয়ে তা টাকায় রূপান্তর করতে গিয়ে বা কেনাকাটা করতে তাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। এমনকি ব্যাংকে গিয়ে কয়েন বদলিয়ে টাকা নিতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে অবস্থাদৃষ্টে সঙ্গত এব্যাপারে খোঁজ খবর করতে গিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এখন আর ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা ও ৫০ পয়সা ও ১ টাকার কয়েনের আর কোন প্রয়োজন আছে কি?