বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাড়ছে মানুষ, কমছে কৃষিজমি। স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় গাইবান্ধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। এর আগে ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রে-তে বীজ বপন করছিলেন কৃষকরা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নতুন এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষিবিভাগ ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মালিবাড়ী মানাসের পাড় এলাকায় স্থানীয় ৭১ জন কৃষক মাটিভর্তি ট্রে-তে রোপন করছে অগ্রণী-৭ হাইব্রিড জাতের ধানবীজ। সমলয় চাষাবাদের নতুন মাত্রায় মেশিন দিয়ে ৫০ একর জমিতে রোবো ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে।
সর্বাধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রে-তে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এ সমলয় চাষাবাদে।
মালিবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল রহমান বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রে-তে ধানেরচারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষিবিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রে-তে বীজবপন ও মেশিনের মাধ্যমে জমিতে চারারোপন করা শুরু হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ৫০ একর জমিতে চারা রোপন করা যায়। এ বিষয়ে কৃষকদের কারিগরি সুবিধা ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষিবিভাগ।
কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, বীজতলা তৈরির ৩ দিনের মাথায় অষ্কুর বের হয়। যা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদন করা যায়। পরবর্তীতে রাইস ট্রান্সপ্যান্টের মাধ্যমে চারারোপণ শুরু করা যায়। এর আগে কখনো দেখিনি বোরো ধানের চারা এ ভাবে উৎপাদন করতে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষে সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়েনে প্রাথমিকভাবে ৫০ একর জমিতে চারারোপনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করার লক্ষে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।