সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়লেও সচেতনতার বালাই নেই বরং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে শহর আর হাটে-বাজারে মানুষ বেপরোয়া চলাফেরা করছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে প্রশাসনের তৎপরতা শিথিল আর সাধারণ মানুষের উদাসীনতায় বাড়ছে সংক্রমণ।
সর্বশেষ গত রবিবার রাতে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় গত সোমবার পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলায় ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮২৮ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা। মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৫ জন। বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৩১৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার। এ উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬৩ জন। মারা গেছেন ৪ জন।
সর্বশেষ গত রবিবার রাতে পাওয়া রিপোর্টে এ জেলায় নতুন করে আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ২৪ জনের মধ্যে সদরে ১২ জন, ফুলছড়িতে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ১ জন, সাঘাটায় ১ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৮ জন রয়েছেন।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্তরোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ৩ জন, সাদুল্লাপুরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৪ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, বর্তমানে জেলায় মোট ৩১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদরের রোগীই বেশি। এছাড়া জেলার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা পৌর শহর ও আশেপাশের এলাকায় করোনা সংক্রামণ ক্রমাগত বাড়ছে। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ৮২৮ জনের মধ্যে এই চার পৌর এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা ৪০৩ জন। এরমধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত ১৮০ জন।
সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘পজিটিভ কেসগুলোর অধিকাংশই এখন সুস্থ হওয়ার পথে’। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। আইসোলেশনে নিতে হবে।’