শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাধারণ ছুটি, লকডউন, এলাকাভিত্তিক রেডজোন, নিরাপদ শারীরিক দুরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ নানান কৌশল বা পদক্ষেপ কোন কিছু কাজে আসছে না। সাড়ে পাঁচ মাসেও রাশ টানা যায়নি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বরং সময়ের সাথে পুরোনো চেহারায় ফিরছে জীবনযাত্রা, কমছে মানুষের সতর্কতাও। প্রায়-দিনই শনাক্তের সংখ্যা ভাঙছে আগের রেকর্ড। যত দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে করোনা পরীক্ষার লাইন। তবুও সময়ের সাথে মানুষের সতর্কতায়ও ভাটা পড়েছে। সংক্রমন, সুস্থ্য আর প্রাণহানীর সংখ্যা এখন যেন স্রেফ পরিসংখ্যান।
গাইবান্ধায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই যেন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড-১৯। নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় গতকাল মঙ্গলবার জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ জন। গত সোমবার রাতে প্রাপ্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে গাইবান্ধায় মোট করোনা আক্রান্ত ৬১৮ জন মানুষ। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
তবে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আশার আলো এর সুস্থতার সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৩৩০ জন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগ থেকে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ৫৯ জন, সুন্দরগঞ্জে ২৮ জন, সাদুল্লাপুরে ৩১ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১৪০ জন, সাঘাটায় ২৪ জন, পলাশবড়ীতে ৩২ জন ও ফুলছড়িতে ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে সদরে ১ জন, গোবিন্দগঞ্জে ২ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। জেলার ৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬১৮ জনের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে সর্বাধিক ২২৩ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ১১৭ জন) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সদরে ১৪৪ (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ১১৩ জন), পলাশবাড়ীতে ৭২ (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৪৬ জন), সাদুল্লাপুরে ৫২, সাঘাটায় ৪৬, সুন্দরগঞ্জে ৫১ (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ২৪ জন) এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গাইবান্ধায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৭৬ জন বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৮৩ জন গাইবান্ধা সদরে, সুন্দরগঞ্জে ২২ জন, সাদুল্লাপুরে ২০ জন, গোবিন্দগঞ্জে ৭৮ জন, সাঘাটায় ২২ জন, পলাশবাড়ীতে ৩৬ জন ও ফুলছড়িতে ১৮ জন।