রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাস আতংকে গাইবান্ধায় অন্যান্য অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না। প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাসের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সংকটের অজুহাতে আসছেন না। এছাড়া কোন চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বারে আগে যেমন চিকিৎসা দিতেন এখন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অজুহাতে চিকিৎসা প্রদান করছেন না।
এতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ৬৫টি চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষেরা ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টিতে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাপানি, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা শহরের ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ থাকলেও করোনা আতংকে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না দরিদ্র ও নিম্নবৃত্তের রোগীরা। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আগে যেখানে হাসপাতালের সিট পাওয়া তো দুরের কথা, মেঝে এবং করিডরেও রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও ছিল একই অবস্থা। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতংকে হাসপাতালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। করিডর মেঝে তো দুরের কথা প্রত্যেকটি কক্ষে এখন সিটগুলোও শূন্য পড়ে আছে। শুধু মাত্র ২/১ টি কক্ষে কিছু রোগী ভর্তিকৃত দেখা যায়। এছাড়া আউটডোরে কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। অথচ কিছুদিন আগেও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীদের গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। তবে আউটডোরে এবং এমার্জেন্সিতে শুধুমাত্র দু’জন চিকিৎসককে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। এছাড়া ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীদের সেবায় ২ নার্স ও ১ জন আয়াকে কর্মরত দেখা গেছে। তবে আউটডোরে রোগীর উপস্থিতি ২ থেকে ৩ জন।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালে সাধারণত এখন রোগী চিকিৎসা নিতে এবং ভর্তি হতে আসছে অপেক্ষাকৃত কম। তবে রোগীরা যাতে চিকিৎসা নিতে আসে সেজন্য জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের উপস্থিতি এবং সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সেজন্য তিনি যে কোন রোগে আক্রান্ত রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সহায়তা নিতে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আসার জন্য আহবান জানান।