সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় অজানা রোগের হানা

গাইবান্ধায় অজানা রোগের হানা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার দুর্গম চরে জমজ শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে অজানা এক রোগ। শিশু দু’টিকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের গরিব বাবা-মা। পল্লীচিকিৎসক থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটে বেড়াচ্ছে দিনমজুর পরিবারটি। শিশু দু’টিকে নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কাছে গেলে তারাও নিশ্চিত নন কি রোগে আক্রান্ত হয়েছে শিশু দু’টি।
ফুলছড়ির দুর্গম চর খাটিয়ামারীর বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, তার আড়াই বছর বয়সী জমজ ছেলে হাসান ও হোসেন জন্মের পর থেকে স্বাভাবিক ছিল। মাস ছয়েক আগে শিশুদের কোমরের নিচে হঠাৎ সাদা দাগ দেখা দেয়। এরপর থেকে ক্রমেই দাগের জায়গায় মাংস শুকিয়ে দেখা দিয়েছে গর্ত আকৃতি। শিশুরা এখন কিছু খেতেও চায় না। তাদের শরীরও ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে।
গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকের পরিচালক ফরিদুল হক সোহেল জানান, জমজ সন্তান হাসান, হোসেনকে নিয়ে আবু সাইদ তাদের ক্লিনিকে আসেন। তারা প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পরে আবু সাইদ, তার স্ত্রী ও শিশু দুটিকে নিয়ে গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যান। সেখানে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুজ্জামান ও সিভিল সার্জন ডাঃ আকতারুজ্জামান আলাল শিশু দুটিকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। পরে সিভিল সার্জন জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক্স) ডাঃ আবুল আজাদ মন্ডল ও একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞকে তার কার্যালয়ে ডেকে শিশু দুটিকে দেখান। তারা প্রাথমিক ভাবে তাদের উপসর্গ অনুযায়ী মায়োপ্যাথী রোগ ধারণা করলেও তা নিশ্চিত নন বলে সিভিল সার্জনকে জানান।
এ সময় ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুজ্জামান জানান, আবু সাইদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, ওই এলাকায় আরও বেশ ক’জনের শরীরে একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, হাসান-হোসেনের গ্রাম ফুলছড়ির দুর্গম চর খাটিয়ামারীতে সরেজমিন তথ্য সংগ্রহের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ আকতারুজ্জামান আলাল বলেন, আপাতত তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও ২০১৬ সালে একই এলাকায় একই উপসর্গ দেখা দিয়েছিল ৩৪ জন শিশু, নারী ও পুরুষের শরীরে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com