সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় দারিয়াপুর বাজার থেকে কাউন্সিলের বাজার সড়কে মানস নদীর উপর নির্মিত সেতুটির বেহাল অবস্থা। সেতু সংলগ্ন অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় পথচারি ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে এলজিইডি ওই সড়কে মানস নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এর আগে বর্ষাকালে ওই পথে চলাচলকারীরা নৌকা বা কলা গাছের ভেলায় নদী পারাপার হতো। শুকনো মৌসুমে পানি কমে গেলে বা শুকিয়ে গেলে মানুষ হেটে নদী পার হতো। এ অবস্থায় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি ওই নদীর উপর ১শ’ মিটার মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি সেতু নির্মাণের স্কীম হাতে নেয়। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালে ওই সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন পেলে ওই বছরের অক্টোবর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ১শ’ মিটার দীর্ঘ এ আরসিসি সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়কসহ নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও কার্যাদেশ দেয়ার ৩২ মাস পর এ নির্মাণে কাজ শেষ হয়। এদিকে ঠিকাদার সেতু নির্মাণে তার মোট অংকের লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে সেতুর দু’পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকে। অপরদিকে সেতুর অ্যাপ্রোচ নির্মাণ না করায় জনগণের ভোগান্তি মোটেই কমেনি। বর্তমানে সেখানে সেতুর দুপাশে মাটি দিয়ে কিছুটা ভরাট করা হলেও তার উপর দিয়ে ওই সেতুতে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকৌশলী সুত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার ব্রীজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় চুক্তি ভঙ্গের কারণে তার জরিমানা করা হয়েছে। এখন অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবারে দুপাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ৫শ মিটারের স্থলে বাড়িয়ে ১ কিলোমিটার করে নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই স্কীম তৈরি করে অনুমোদনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে এই সেতুটির বিদ্যমান সমস্যা নিরসন করা হবে বলে জানা গেছে।