শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ আগামী শনিবার ঈদুল আযহা। ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকে লেনদেন করার সরকারি ঘোষণা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। গতকাল বুধবার গাইবান্ধার বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখায় ঈদের খরচ ও কোরবানির পশু কেনার টাকা তুলতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। জেলা শহরের সবগুলো ব্যাংকের শাখাগুলোতে এমন চিত্র দেখা যায়। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকরা পড়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেশিরভাগেরই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। ব্যাংকের বাইরেও নেই প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা। গ্রাহকরা ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাঁ ঘেষে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এদের কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেককেই সঠিক জায়গায় মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা তুলেছেন কিংবা জমা দিচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে এটিএম বুথগুলোতেও গ্রাহকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এমন চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলা শহরের পার্করোড, স্টেশন রোড, ডি.বি রোড, সার্কুলার রোডসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথেও ।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। এবার সপ্তাহিক ছুটিসহ টানা তিনদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এ কারণে অনেক গ্রাহকই তাদের প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে এসেছিলেন। এরমধ্যে অনেকেই এসেছিলেন নতুন টাকা নিতে। তবে শুধু টাকা তোলার জন্য নয়, অনেক গ্রাহক টাকা জমাও দিয়েছেন।
তারা জানান, ঈদের ছুটি শুরুর আগে অন্যান্য দিনের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কোরবানীর পশু কেনার কারণে নগদ টাকার বিপুল চাহিদা থাকায় সকাল থেকে ব্যাংকে গ্রাহকের ভিড় বাড়তে থাকে। গ্রাহকদের সেবা দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হয়। তবে গ্রাহকরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা না মানায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাঝে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।