রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার বালাসী হতে পারে বিনোদনের মিলন কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর থাকে। পর্যটন বলতে যা বুঝায় তা এখানে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। এলাকার জনগন জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত নির্ভয়ে নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে পারে ছেলে-মেয়েরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালাসীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট হোটেল -রেস্তোরাঁ, নানান রকম খুচরা পণ্যের দোকান, যানবাহন রাখার জন্য গ্যারেজ। বালাসীকে ঘিরে যে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তা না দেখলে বোঝা যাবে না। প্রতিদিন ১৩০ টি নৌকা রিজার্ভ চলাচল করে। এসব স্যালো মেশিনের নৌকা নিয়ে নদীর উপর ভেসে নদীর মনোরম দৃশ্য অনুভব করছে অনেকে ।
কেউ কেউ নৌকা থামিয়ে চরে গিয়ে বিশাল কাঁশবনের সঙ্গে সেলফি তুলছে। অনেক চরে বিশাল মহিষের পাল দেখা যায়। তার পাশে গিয়ে সেলফি তুলছে। পাল তোলা নৌকা, ক্ষ্যাপের নৌকা, মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য নদীকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। যা স্বচক্ষে না দেখলে কারোরই বিশ্বাস হবে না । চরের মাঝে গম, ভূট্রা, কাঁচা মরিচ, বাদাম, মাস কালাই, সবজির আবাদ চরগুলোকে আরো সবুজে সবুজে ভরে তুলেছে।
চরের প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন বিনোদনের মিলন কেন্দ্রে পরিনিত হয়েছে। সরকার যদি এটি টেনেল নির্মাণ করত, তবে এ অঞ্চলের মানুষ ময়মনসিংহের মাঝ দিয়ে চট্টগ্রাম যেতে পারত মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টায়। এতে করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি গাইবান্ধা জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটাতে পারত।