সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমান শীতকালন শাক-সবজি আসতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় একমাসের ব্যবধানে দাম কমেছে অর্ধেকে। যার কারণে ক্রেতা সাধারণের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সরেজমিনে গতকাল গাইবান্ধার শহরের পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা গেছে শাক-সবজির দর-দাম।
বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা, সিম ২০ টাকা, বটবটি ৩০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পুরাতন আলু ২০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, তরই ৩০ টাকা, লাউ ২০-৩৫ টাকা (প্রতি পিস) ধনিয়া শাক ১০০ টাকা, মূলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, সরিষা শাক ২০ টাকা, লাপা শাক ৩০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির মধ্যে কমেনি আলুর দাম।
সাদুল্লাপুর বাজারে সবজি কিনতে আসাএক ব্যক্তি জানান, শীতকালীন শাক-সবজি একমাস ধরে আমদানি হচ্ছে। শুরুর দিকে এসবের দাম ছিল আকাশচুম্বি। এরই মধ্যে দাম কমে নেমেছে অর্ধেকেরও বেশী। এতে করে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। খুচরা বাজারে সবজি বিক্রেতা এমরান হোসেন জানান, সম্প্রতি আড়তে ব্যাপক সবজি আমদানি হচ্ছে। দামও কমেছে অনেকটাই। এতে করে কৃষক-ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ লাভবান হচ্ছে।
কৃষক নামজমুল হক জানান, শীতের জন্য আগাম সবজির আবাদ করছিলেন। কিছুদিন আগে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সেই ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তাই উৎপাদন কম হয়েছিল। এখন আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে।গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, চলতি রবি মৌসুমে (শীতকালীন) ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। যা এ পর্যন্ত অর্জন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে।