মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, কাটাখালি, ঘাঘট নদী বেষ্টিত গাইবান্ধায় জেগে উঠেছে বিস্তীর্ণ চর। সময়ের সঙ্গে নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় কখনো চর জাগে আবার বিলীন হয়। এসব চরে গম, ভুট্টা, খেসারি কলাই, মুগকলাই, কাউন, মরিচ, পেয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। চরের ফসলের তালিকায় ভুট্টা যেন ‘সোনা’ হিসাবে পরিচিত। যেমন ফলন, তেমনি দাম। চরের মাটি ভুট্টা চাষের উপযোগী বলেই ভাগ্যের চাকা ঘুরছে এখানকার চাষিদের।
সরেজমিনে গাইবান্ধার বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা যায়, বালি মাটিতে ভুট্টার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। চাষিরা ভুট্টার কলা সংগ্রহ করে ঘরে তুলছেন। কেউ সংগ্রহ করা ভুট্টার কলাগুলো থেকে ভুট্টা বের করছেন। অপরদিকে ভুট্টার উৎপাদনে মিলছে সরকারি সহযোগী আর বাজারজাতে নেই কোনো বিড়ম্বনা। পাইকাররা বাড়ি এসে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি মণ (৪০ কেজি) দরে ভুট্টা সংগ্রহ করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, আমি বাঙালী নদীর তীরে দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। ফলন বেশ ভাল হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার চাষ বেশ লাভজনক। এ ফসলে চাষের মাধ্যমে আমরা স্বাবলম্বী হচ্ছি।
ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি আব্দুল করিম জানান, এ বছর চরে ভুট্টার ফলন বেশ ভাল হয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় সেচে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ঝড়-বৃষ্টির ফলে প্রতি বছর ভুট্টার ক্ষেত হেলে পরে এতে ফলন কমে যায়। এবছর ফলনের কোনো সমস্যা হয়নি ।
ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মমিন মিয়া বলেন, ভুট্টা চাষের ফলে আমরা গত পাঁচ বছরে অনেক লাভবান হয়েছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ফুলছড়ি হাটে আসে ভুট্টা কিনতে। বিক্রি করতেও কোনো সমস্যা হয় না।
সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দ গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এবছর ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। বিঘায় খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ৪০ মণ ভুট্টার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।