রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট, কাটাখালি করতোয়াসহ বেশ কয়েকটি নদী। নদীবেষ্টিত এই জনপদে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। বর্ষায় নৌকা ব্যবহার হলেও গ্রীষ্মে চরাঞ্চলের বালুতে ঢেকে যায় সড়ক। তাই বালুচরের মানুষদের পরিবহন মানেই অপিহার্য হয়ে দাঁড়ায় ঘোড়ার গাড়ি। এক সময় জেলার প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা মিললেও এখন শুধু চরেই চলছে ঘোড়ার গাড়ি।
সচেতন মহল বলছে, আগে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল চোখে পড়ার মতো। সময়ের ব্যবধানে এখন আর শহরে ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে না। এখন ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে চরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে মালামাল পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। এই গাড়ি ব্যবহারের ফলে যেমন দ্রুত সময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া সহজ, তেমনি কমছে পরিবহন খরচ।
ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি চরের জাহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার টাকা আয় হয়। এভাবেই চলে তার সংসার। প্রতিদিন নদীর ঘাট থেকে মালামাল আনা নেয়া করে গত পাঁচ বছরে সংসরের অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি আগে দিনমজুর হিসেবে প্রতিদিন তিনশ থেকে সর্বচ্চ পাঁচশ টাকা আয় করতেন। আর এখন প্রতিদিন এক হাজার থেকে অনেক সময় দেড় হাজার টাকাও আয় করেন।
টেংরাকান্দি চরের ঘোড়ার গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, চরে যোগাযোগের কোনো সড়ক নেই। তাই চরের আকাবাঁকা-উঁচুনিচু রাস্তায় ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করতে হয়।
তিস্তা নদীবেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমন কৃষি শ্রমিকের পেশা পরিবতর্ন করে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঘোড়া কিনে নেন। পরে সেই ঘোড়ার গাড়ি দিয়েই চলছে সংসার।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৮২ ইউনিয়নে দেড় শতাধিক চর রয়েছে। তবে এসব চরে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা জানা যায়নি।