শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১২:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৈশাখ মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূজা-পার্বন উপলক্ষে কোথাও কোন গ্রাম্য মেলা বসবে না।
এব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল জানান, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে গাইবান্ধা জেলাধীন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি জয়কালি মন্দির, গোবিন্দগঞ্জের রাজা বিরাট এ গোবিন্দ মন্দির, পলাশবাড়ি ও সাদুল্যাপুর উপজেলার ধারাই গ্রামের শ্রী শ্রী মঙ্গলচন্ডি মন্দির, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে মাসব্যাপী পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের মরণ ছোঁবল থেকে মানবকুলকে রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশক্রমে এ বছর গাইবান্ধা জেলার এসব পূজা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন মেলা বা জন সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি জয়কালি মন্দির ও সেবা সংসদের সভাপতি রণজিৎ কুমার চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সিংহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐতিহ্যবাহি ভরতখালি জয়কালি মন্দিরে পুরো বৈশাখ মাসব্যাপী শনি ও মঙ্গলবারে কাস্ট কালিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেলায় হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু এ বছর কোন মেলা বসানো হবে না। তবে মন্দিরে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে যথারীতি নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি সন্তোষ কুমার বর্মন জানান, মানুষের কল্যাণে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ বছর শুধুমাত্র পূজা ও প্রার্থনা সভা করা হবে। মেলা বা জনসমাবেশ করা হবে না। মেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকালে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতোমধ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃংখলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বার্ণির স্নান, গঙ্গা স্নান, অষ্টমীর স্নানসহ বিভিন্ন পূজা উপলক্ষে কোন মেলা বা জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি।