সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ শীত এলেই গ্রামগঞ্জে হরেক রকম পিঠা আর ক্ষীর খেয়ে রসনার তৃপ্তি মেটানো বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য। নতুন চালের আটা আর আখের গুড় দিয়ে গ্রামগঞ্জের বৌ-ঝিয়েরা বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেন ভাপা, চিতই, দুধ চিতই, তেলে ভাজা, পাটি সাপটা, সিদ্ধ কুলি, নকশী নারিকেল পিঠাসহ হরেক রকম পিঠা।
বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা পরিবারের সদস্যদের তৃপ্তি মেটাতে গুড়ের তৈরি পিঠা আর ক্ষীরের জুড়ি মেলা ভার। পিঠা তৈরির অন্যতম উপাদানই হলো গুড়। কিন্তু ভেজাল গুড়ে সয়লাব এখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। পিঠা তৈরির অন্যতম এই উপাদানটি কিনতে গিয়ে কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন ভোক্তারা। এছাড়াও রয়েছে ওজনে কারসাজির অভিযোগ।
সরেজমিনে পৌর বাজার ও মীরগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, সহজ সরল ভোক্তারা কিনছেন ক্ষীর, পিঠা, মোয়া তৈরি কিংবা চিড়া ও মুড়ি দিয়ে খাওয়ার জন্য গুড়। সবাই আসল গুড়ের সন্ধান করছেন বাজারে। তবে গুড় ব্যবসায়ীরা অনেকগুলো গুড়ের মধ্য থেকে গুড়ের মুঠা ভোক্তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে দাম চাইছেন ৯০ টাকা। আসল গুড় চাইলে অন্য আরেকটি মুঠা দেখিয়ে দিয়ে বলছেন এটার দাম ১০০ টাকা।
একই গুড় দামে কম-বেশি কেন? ভোক্তারা জানতে চাইলে দোকানিরা বলছেন, ভালো-মন্দ বলে দামেও কম-বেশি হয়। সচরাচর মুঠা হিসাবে গুড় বিক্রি হওয়ায় ওজনও পরখ করে দেখার প্রয়োজনবোধও করেন না ভোক্তারা। ভোক্তাদের এমন সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে ঠকিয়ে চলছেন গুড় ব্যবসায়ীরা।
দোকানিদের ভাষ্য, প্রতিটি মুঠা নাকি ষাটের ওজনে বিক্রি হয়। ষাটের ওজন! কেজিতে কতটুকু বলতেই তারা বলছেন, ৭৫০ গ্রাম।