বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ বন্যা পরবর্তীতে সাদুল্লাপুর উপজেলার দেখা দিয়েছে গবাদীপশুর খাদ্য সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় গরুর পাল নিয়ে খাল-বিলের কোমর পানিতে নেমে কচুরিপানা খাওয়াচ্ছেন কৃষকরা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চোংগার বিল নামকস্থানে দেখা য়ায় দলবদ্ধ গরুর কচুরিপানা খাওয়ার চিত্র। এসময় সুজা মিয়া নামের এক কৃষকসহ আরো অনেকে গরুকে কুচরিপানা খাওয়াচ্ছিলেন।
জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে দেশিয় পদ্ধতি প্রতিপালন করা হয় গরু-বাছুর। প্রত্যেকটি বাড়িতে ২ থেকে ১০ টি গরু রয়েছে। এসব পশুকে মাঠে বেঁধে খাওয়ানো হয় ঘাস। আর গোয়াল ঘরে খাওয়ানো হয় ধানের খড়-কুড়া। এভাবে গরু-বাছুর প্রতিপালন করে অনেকটাই লাভবান হয়ে থাকেন গৃহস্থালিরা ।
গত দুইমাস আগে এ উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যা। এ বন্যার পানি বসতবাড়ি থেকে সরে গেলেও, এখনো সরেনি খাল-বিল ও মাঠ থেকে। ফলে গবাদীপশুর দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। সেই সঙ্গে সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে আমন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে গরু-বাছুরের খাদ্য সংকট আরো চরমে পৌঁছাছে। বর্তমান সময়ে কিছু সংখ্যাক কৃষক ধান কাটলেও, যেন ধানের চেয়ে আটির দামই বেশী। গবাদীপশুর খাদ্য চাহিদা বেশী হওয়ায় প্রত্যকটি ধানের আঁটি কেনাবেচা হচ্ছে ৫ টাকা দরে। তবে এটি গত বছরে দাম ছিলো ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত।
বিদ্যমান পরিস্থিতে গবাদীপশুর খাদ্য যোগাতে চরম হিমসিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। গৃহপালিত গরু-বাছুর বাঁচাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা। এমন পরিস্থিতির শিকার অনেকে কম দামে গরু-বাছুর বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
গরুর মালিক সুজা মিয়া বলেন, দেশিয় জাতের ১৫ টি গরু রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব পশু প্রতিপালন করে সংসার চালাই। এবছরে বন্যার প্রভাবে গরুর খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। এটি মোকাবিলায় চোংগার বিলের কোমর পানিতে নেমে গরুগুলোকে কচুরিপানা খাওয়ানো হচ্ছে।