শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
বাদিয়াখালী প্রতিনিধিঃ কালের বিবর্তনে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে নানা ধরনের যানবাহন তৈরী হওয়ায় অনেক আগেই হারিয়ে গেছে মানদাতা আমলের মালামাল ও মানুষ বহনকারী গরু ও মহিষের গাড়ি। তবে কিছু কিছু এলাকায় পশু দিয়ে মালামাল বহনকারী প্রথা রয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। গতকাল বিকালে বাদিয়াখালীর নুরুলগঞ্জহাটে চোখে পড়ল সার বোঝাই দুখানা ঘোড়ার গাড়ী। গাড়ী দুখানা এসেছিল ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারির পার্শ¦বর্তি চড় এলাকা থেকে ইউরিয়া সার ক্রয় করে নিয়ে যেতে। বাদিয়াখালী নুরুলগঞ্জ হাট এলাকার জনৈক সার ডিলারের দোকান থেকে সার ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়ির চালক পায়ে হেটে চলছিল হাতে ঘোড়ার লাগাম ধরে। এ প্রতিনিধি নিজেও ঘোড়ার গাড়ির সাথে হেটে যেতে যেতে কথা হলো গ্রামগঞ্জের গরু মহিষের গাড়ি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ঘোড়ার গাড়ির চালকের সাথে। তিনি বলেন বিভিন্ন এলাকার গ্রামগঞ্জের হাজার বছরের ঐতিহ্য গরু মহিষের গাড়ি এখন আর চোখে পড়ে না। তার কথায় তাদের চড় এলাকাতে আদৌ কোন গরু মহিষের গাড়ি নাই। আছে শুধু কতিপয় লোকের ঘোড়া গাড়ি। আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন তৈরী হয়েছে যার ফলে গরু মহিষের গাড়ি অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে অনেকেই সখের বসে গরু মহিষের গাড়ি সাজাতে চাইলেও দেড় দুই লক্ষ টাকা খরচের ভয়ে আতকে ওঠে। জনৈক চালক আরো বলেন তাদের চড় এলাকায় আধুনিক যুগের যানবাহন চলাচলের জন্য ভলো রাস্তাঘাট না থাকায় ঘোড়া গাড়ি দিয়ে মালামাল বহন করে থাকি।