বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বন্যায় ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায়, কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ মাসে এলাকাবাসির অধিক চলাচলে খুব নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সাঁকোগুলো। উপজেলার জনগুরুত্বপুর্ণ বেশ কয়টি সড়কে এই সাঁকো রয়েছে। তারমধ্যে বোনারপাড়া-ত্রিমোহনীঘাট সড়কে পল্টুরমোড়ের আশে পাশেই তিনটি কাঠের সাকো রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়,গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় গত বন্যায় ৬৫ টি সড়ক, দুটি কালভাট, ১০টি ব্রীজের এপ্রোজ ভেঙে চুড়ে বেহাল অবস্থা হয়েছে। লোকজন ও যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। গত আড়াই মাসে কাঠ ও বাঁশের সাকো ব্রীজ দিয়ে চলাচল চালু করা হলেও, সেগুলো এখন নড়বড়ে অবস্থা।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া এসব রাস্তার অগনিত স্থানে ধসে গেছে। নতুন করে আবারো খানা খন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। বড় আকারে ধসে যাওয়ায় ১০টি রাস্তায় যানবাহন চলাচলে সম্পুর্ন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বন্যার পর গত তিন মাসে এসব বেহাল সড়কে অন্তত ৬৫টি ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটেছে ।
উপজেলার বোনারপাড়া-ভরতখালী রাস্তার ৬ কিলোমিটার, পদুমশহর-মজিদের ভিটা রাস্তার ৩ কিলোমিটার, ভূতমারা-মিয়ারবাজার রাস্তার ৪ কিলোমিটার, সাঘাটা-জুমারবাড়ি রাস্তার ৭ কিলোমিটার, বটতলা রাস্তার ৩ কিলোমিটার, আমদিরপাড়া-জুমারবাড়ি রাস্তার বেড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, পবনতাইর রাস্তার ৩ কিলোমিটার, নলছিয়া রাস্তার ৪ কিলোমিটার, আমদিরপাড়া-গোবিন্দপুর হাইস্কুল রাস্তার ৪ কিলোমিটার, বোনারপাড়া-ত্রিমোহনী রাস্তার ৪ কিলোমিটার ও জুমারবাড়ি-সোনাতলা রাস্তার ৩ কিলোমিটার সহ ২৫টি রাস্তার প্রায় ৬৩ কিলোমিটার অংশের অবস্থা একেবারে বেহাল। এছাড়াও বিগত বন্যায় উপজেলার বাটি, দলদলিয়া, কাদের আলী দহ, ব্রীজ ও হলদিয়া ব্রীজের সংযোগ ভেঙে গেছে। বাটি, পদুমশহর ও হলদিয়া এলাকাবাসী জানান, রাস্তাগুলো পাকা হওয়ার পর দীর্ঘদিনে সংস্কার হয়নি। বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে ভেঙেচুড়ে যাওয়া রাস্তাগুলো আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম প্রতিবেদককে জানালেন। ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে পর্যায়ক্রমে সংস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে একটু সময় লাগবে বলে তিনি জানান।