সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ কৃষি কাজের জন্য আমদানী এই যানটির দাপটে, অত্যাচারে অতিষ্ঠ গাইবান্ধার সর্বস্তরের মানুষ। নদী থেকে বালু উত্তোলন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটা, অবৈধ মাটি ও বালুর ব্যবসা, মালামাল পরিবহনসহ সব কাজেই দিনে, রাতে অবাধে এবং দাপটে শহরে ও গ্রামে চলছে এই কাঁকড়া নামের দানব সাদৃশ্য যানবাহন।
অথচ এই ট্রাক্টরের মালামাল পরিবহন বা সড়ক পথে চলাচলের কোন লাইসেন্স নেই। এমনকি এই চালকদেরও নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। সাধারণত কম বয়সের অদক্ষ চালক যাদের কোন ভারী যানবাহন চালানোর প্রশিক্ষণ নেই। অথচ তারাই সড়ক পথে তীব্র গতিতে এবং প্রচ- শব্দে দাপটে চালিয়ে যাচ্ছে এসমস্ত যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অসহায় মানুষ এবং অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক প্রাণ।
এদিকে আইনকে অবজ্ঞা করে এই যানবাহনটি বিকট শব্দে দিনে এবং গভীর রাতেও এ জেলার শহরে ও গ্রামে চলাচল করে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এর বিকট শব্দে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ হচ্ছে, এর ভয়ে পথচারী এবং অন্য যানবাহনদের সবসময় এক আতংক নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে এই ট্রাক্টর দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ পেরিয়ে পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানির তোড়ে অতিসহজেই বাঁধ ভেঙ্গে ভয়াবহ বন্যার শিকার হচ্ছে মানুষ। তদুপরি দ্রুতগতিতে এই ট্রাক্টরের অবাধ চলাচল করার কারণে গ্রাম এবং শহরের কাঁচা ও পাকা সড়কগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিপন্ন হচ্ছে মানুষ।
জনদূর্ভোগ নামের এই ট্রাক্টরের মালামাল পরিবহনে আইনগত বৈধতা না থাকলেও নির্বিঘেœ দাপটেই চলছে এই যানবাহনটি। অথচ এর কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে, সড়ক, বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, শব্দ দূষনে বিপন্ন, বিক্ষুব্ধ মানুষ। কিন্তুু দেখার কেউ নেই! অভিযোগ করেও এর কোনই লাভ নেই! কারণ পুলিশ, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই নিরব দর্শক!