রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রতিবছর বর্ষা এলেই রাক্ষুসে হয়ে ওঠে তিস্তা। ভাঙনের কবলে পড়ে নদীপাড়ের ফসলি জমি, বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা। তিস্তার এ ভাঙন রোধে নদীপাড় ও বাঁধের ধারে কলাগাছ, বিন্না, ঢোলকলমি আর ঘাস লাগিয়ে রক্ষা পেয়েছেন গাইবান্ধার চরাঞ্চলের তিন গ্রামের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে তিস্তার ভাঙন রোধে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বছর খানেক আগে কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাকশন গ্রুপের (ক্রাগ) সদস্যরা নদীপাড় ও বাঁধে কলাগাছ, বিন্নার থোপ, ঢোলকলমি ও ঘাস লাগায়। এ কাজের সুফলও মিলেছে বেশ। এবারের বন্যায় ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে ভাটি কাপাসিয়া, ভাটি বুড়াইল ও রাজার চরের ফসলি জমি, নানা স্থাপনা এবং বাড়িঘর। এতে স্বস্তি ফিরেছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানান, কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের সহযোগিতায় টেকসই বন্যা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে তিস্তার শাখা নদীর পাড়ে এ উদ্যোগ নেয়। ফলে নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব। তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে খনন করলে চরাঞ্চলে স্থায়ীভাবে কৃষি আর মৎস্য ভা-ার সমৃদ্ধ হবে। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার সংযোগস্থলের এক কিলোমিটার পূর্ব পর্যন্ত নদী খনন, নদীর দুই তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ড্রেজিং করে যে মাটি উত্তোলন করা হবে তা নদীর দু’পাশে ভরাট করলে সুফল পাওয়া যাবে।
তারা মিয়া নামের চরাঞ্চলের বাসিন্দা বলেন, তিস্তার কারণেই বর্ষা-খরা দুই মৌসুমেই চরম দুর্ভোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়।