রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২, ১২:০১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসে আতংকে গাইবান্ধার কর্মহীন দরিদ্র শ্রমজীবি, কৃষি শ্রমিক, কৃষিজীবি ও দিনমজুর পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। কাজ না থাকায় ঘরের সামান্য মজুদের উপর নির্ভর করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হলে আয় কমে যাওয়ায় এখন তাদের সাংসারিক চাহিদা মেটাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
করোনা ভাইরাস জনিত কারণে লক ডাউন করায় সমস্ত দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস আতংকে লোকজন এখন ঘরে আবদ্ধ হয়ে থাকায় শ্রমজীবিদের মধ্যে রিক্সা, ভ্যান, অটোবাইক, ম্যাজিক, বাস-ট্রাক ড্রাইভার হেলপারগুলোর আয় বহুলাংশে কমে গেছে। শহর-বন্দর ও গ্রামগঞ্জে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন যানবাহন চালিয়েও যা আয় হচ্ছে তাতে তাদের দৈনিক ভাড়া পরিশোধ করার পর হাতে যা থাকছে তা দিয়ে তাদের সংসারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা শহরের ক’জন রিক্সা চালক, ভ্যান চালক ও অটোবাইক চালকদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে এখন কোন কাজ না থাকায় পেশাদার কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। কারণ এ সময়গুলোতে তারা দিনমজুরীতে অন্যান্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতংকে সব রকম কাজকর্মসহ নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, পেশাদার দিনমজুররা কোন কাজ পাচ্ছে না। ফলে দিনের পর দিন কর্মহীন থাকায় অর্থ সংকটে পরিবার-পরিজন এবং দৈন্যন্দিন সাংসারিক চাহিদা পূররণ করতে পারছে না।
এদিকে দোকানপাট ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং ছোট ছোট কারখানাগুলো এসমস্ত প্রতিষ্ঠানে দিন চুক্তিতে কাজ করা কর্মরত কর্মচারিরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি হকাররা বেচাকেনা করতে পারছে না। কেননা শহর-বন্দরে লোকজন না থাকায় তাদের হকারি ব্যবসা একেবারেই চলছে না।
এ সকল দিনমজুর, হকার, দোকান কর্মচারি, পেশাজীবি কৃষি শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস আতংকে লক ডাউনের এই সময়টিতে সহায়তা প্রদান একান্ত অপরিহার্য। এব্যাপারে তারা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রশাসনের কাছে ত্রাণ সহায়তা প্রত্যাশা করছে।