শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনাকালিন সময়ে সবজি চাহিদা মেটাতে কৃষি নারী উদ্যোক্তা রাজেনা বেগমের সাফল্য চোখে পড়ার মত। শুধু সবজি চাষ নয়, হাস-মুরগী, গরু ও মৎস্য খামার রয়েছে তার। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের সতিরজান গ্রামের সাদা মিয়ার স্ত্রী রাজেনা বেগম। দীর্ঘদিন থেকে মৌসুমি শাক-সবজি, ফল-মুল, হাস-মুরগী, গরু ও মৎস্য চাষাবাদ করে গোটা উপজেলায় ব্যাপক সারা জাগিয়েছে । ইতিমধ্যে তিনি উপজেলা পর্যায়ে সফল নারী কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের এমএম ডাব্লিউ ডাব্লিউ প্রকল্পের মাঠ কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে রাজেনা বেগম আজ সাফল্যের দোড়গোরায়। সরেজমিন রাজেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে বর্তমানে তার ক্ষেতে লাউ, সিম, বরবটি, বেগুন, মুলা, করলা, কফি, শশা, পালংশাক, মুলাশাক, লালশাক, সরিষা শাক রয়েছে। এছাড়া হাস-মরগীর ডিম, গরুর দুধ এবং খামারের মাছ প্রতিনিয়ত বিক্রি করছে। রাজেনা বেগম জানান উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের এমএম ডাব্লিউ ডাব্লিউ প্রকল্পের মাঠ কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে তার স্বামী সাদা মিয়াসহ কৃষিকাজ শুরু করেন। বসতবাড়িসহ ২ বিঘা জমিতে তিনি অল্প পরিসরে খামার এবং সবজি চাষাবাদ করে আসছেন। তিনি আরও বলেন সংসারের ব্যয়ভার বহন করার পর প্রতিবছর তার আয় ১ লাখ টাকা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের এমএম ডাব্লিউ ডাব্লিউ প্রকল্পের উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারি কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন জানান দীর্ঘ ৩ বছর ধরে রাজেনা বেগমকে টেকনিক্যাল সহায়তা করে আসছে প্রকল্পটি। অল্প সময়ে তিনি একজন সফল কৃষি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে তিনি একজন স্বাবলম্বী কৃষি নারী উদ্যোক্তা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান রাজেনা বেগম এবং সাদা মিয়া দু’জনেই সফল কৃষক। কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক মৌসুম ভিত্তিক ফসল চাষাবাদ করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। রাজেনা বেগম বর্তমানে একজন সফল চাষি।