সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘটসহ জেলার সবগুলো নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ি বিপদসীমার ৬২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত রোববার সকাল ৬টায় করতোয়ার পানি বিপদসীমার মাত্র ১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু বিকাল ৩টায় ওই নদীর পানি কাটাখালি পয়েন্টে ২৭ সে.মি বিপদসীমার উপরে ওঠে। ওই নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় ৩৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে ৬২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার ফলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, শিবপুর, সাপমারা, নাকাই, কাটাবাড়ি, ফুলবাড়ি, হরিরামপুর, মহিমাগঞ্জ, রাখালবুরুজ ও তালুকানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি। এছাড়া পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অসময়ে আকস্মিক এই বন্যায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির লোকজন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার পরিবার তাদের পালিত পশু পাখি নিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫ মে. টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।