সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও গাইবান্ধায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনেক রাস্তায় আরও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বিশেষ করে আগের তুলনায় মটর সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। এদিকে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট খোলা থাকছে। বিশেষ করে গাইবান্ধা কলেজ রোডের প্রফেসর কলোনী, সুন্দরজান মোড়, তিনগাছের তল, গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ইন্দ্রারপাড়, বাংলা বাজার, বোর্ড বাজারসহ সদর উপজেলার ভেড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন মোল্লা বাজার, পাঁচজুম্মা, স্কুলের বাজার, ৭৫ নং রেলগেট এলাকাসহ হাট লক্ষ্মীপুর, দারিয়াপুর বাজারগুলোতে দোকানপাট খোলা ছিল। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দুরের কথা কোন লোকজনের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি।
এদিকে লকডাউন কার্যকরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্যদের টহল এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। এমনকি দোকানপাট খোলা থাকায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যথারীতি জরিমানা ও মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে তৃতীয় দিনে লোকজনের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে। তাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। এছাড়া শহরের পুরাতন বাজার, হকার্স মার্কেটে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে লোকজনকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। অপরদিকে উপজেলা সদরগুলোতে যথারীতি লকডাউন পালিত হয়েছে। যানবাহন ও লোক চলাচল ছিল সীমিত। উপজেলা সদসরগুলোতেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।