রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট ডিভিশনের আওতাধীন সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেলস্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবশেষে যাত্রা বিরতি দিয়েছে। গাইবান্ধা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি গত সোমবার রেলপথ মন্ত্রীর সাথে রেলপথ ভবনে এক আলোচনা বৈঠক করেন। এ সময় রেলপথ সচিব সেলিম রেজা ও রেলওয়ের ডিজি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ট্রেনটি নলডাঙ্গা রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতির জন্য রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ঢাকা হতে রংপর অভিমুখে যাওযার সময় নলডাঙ্গা রেলস্টেশনে ট্রেনটি ২ মিনিটের যাত্রা বিরতি দেয়। এ খবর স্থানীয়রা জানতে পেরে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের ডি,আর, এম ও ডি,টি,এস কে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন ধরেননি। তবে সংসদ সদস্যের মনোনীত সাদুল্ল্যাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এ্যাডঃ মোঃ আনোয়ারুল আজিম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর বাসি স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহসায় ঢাকা চলাললের বিষয়টি বিবেচনা করে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিগত ২০১১ সালে চালু করা করেন। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন রংপুরে এসে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি ও রেলওয়ের ডিজি ওই ট্রেনেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।এরই মধ্যে ট্রেনটি নলডাঙ্গা রেলস্টেশনে ঢোকার সাথে সাথে নলডাঙ্গা ও আশেপাশের কয়েক হাজার মানুষ নলডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রা বিরতির দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা ট্রেনটি আটকে রাখে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনতার দাবির মুখে তাৎক্ষনিক ভাবে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক ডিজি ট্রেনটি নলডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রা বিরতির নির্দেশ দেন। সেইদিন থেকে ট্রেনটি টানা নয় বছর নিয়মিত যাত্রা বিরতি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারনে সকল ট্রেন বন্ধ রাখা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ট্রেনটি পুনঃরায় চালু করা হলে রেল কর্তৃপক্ষ কোন রকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ওই স্টেশনে ট্রেনটি স্টপেজ না দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এ খবর সর্বত্রই জানাজানি হলে আবারো উত্তাল হয়ে উঠে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের হাজারো জনতা। তারা ফের ট্রেনটি স্থায়ী স্টেপেজের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন।