সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা উপজেলায় গত ১০ বছরে চলমান কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাচ্ছে সাঘাটা উপজেলার চিত্র। পাল্টে যাচ্ছে সাঘাটার গ্রামীণ জনপথ। অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে সাঘাটায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুর হার কমানো, ১শ’ ভাগ বিদ্যুতায়ন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ উপজেলা সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের চিত্র। উল্লেখ্য যে, কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে গাইবান্ধা থেকে সাঘাটা পর্যন্ত মিনি বিশ^রোড, উপজেলা পরিষদ ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর ২টি, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ, চরাঞ্চলের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ২৫/৩০টি আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছ গ্রাম, প্রায় ১০ হাজার হতদরিদ্রদের বাসস্থান, ৪০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় সাঘাটা হাসপাতাল, ১টি কলেজকে সরকারী বিশ^বিদ্যালয়ে রুপান্তর, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারী করণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, গ্রাম ও চরাঞ্চলের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, কালভার্ট, ব্রীজ, সেতু নির্মাণ, রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। এতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে জনসাধারণের কষ্ট লাঘব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলেই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও যুবক-যুবনারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ০১ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে সাঘাটা উপজেলার চিত্র পাল্টে গেছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, বর্তমান সরকারের আমলেই সাঘাটার এই অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড ফজলে রাব্বী মিয়া এম.পি’র প্রচেষ্টায় সাঘাটা উপজেলার বর্তমান উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। তা বিগত কোন সরকারই এত উন্নয়ন করতে পারেনি। শুধু তাই নয় ডেপুটি স্পীকারের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ, বলিয়ার বেড় সেতু নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ সহ উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এ উপজেলার চলমান উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করে সাঘাটা উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে উন্নীত করার জন্য সাধারণ মানুষেরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান।