সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের আদিবাসী ও বাঙালিদের হত্যা অগ্নিসংযোগ লুটপাট ভাংচুর নির্যাতনের বিচার ও সাঁওতাল-বাঙালির জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন গতকাল শুক্রবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের আদিবাসী ও বাঙালিদের উপর রংপুর মহিমাগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হামলা, লুটপাট, খুন, উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগ ও হয়রানির ঘটনার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও আদিবাসীরা প্রকৃত বিচার পায়নি। উপরন্ত পুলিশ ব্যুরো ও সিআইডি কর্তৃক তদন্তকৃত চার্জশীটে বাদ পড়েছে মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং সাঁওতালদের বাড়িতে আগুন দেয়া পুলিশ সদস্যদেরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম।
আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং গুলি করে নিহত ও গুরুতর আহত করার সাথে জড়িত উস্কানিদাতা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে সাঁওতাল হত্যাকান্ডের মূলহোতা সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে। সেই সাথে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;
৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ আদিবাসী-বাঙালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আদিবাসী বাঙালি নারী-পুরুষের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের জুলুম ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ করতে হবে;
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক হরেন্দ্র নাথ সিং, প্রাণ বৈচিত্র গবেষক পাভেল পার্থ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সদস্য খোকন সুইটেন মুরমু, গাইবান্ধা জনউদ্যোগের আহবায়ক জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম বাবু, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।