শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও অনেক এনজিও কিস্তি আদায় করছে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রশাসনের নজবদারি এড়াতে এনজিওকর্মীরা সন্ধ্যার পর ঋণগ্রহিতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করছে তারা। এতে লকডাউনের এই সময়টিতে অর্থনৈতিক বিপাকে পড়ছে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া কঠোর লকডাউনের ৫ম দিনে গাইবান্ধা শহরে সবধরনের যানবাহন ও হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় আরও বেড়েছে।
গাইবান্ধা জেলা শহরের বাইরে এলাকা গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়ক, গাইবান্ধা-বাদিয়াখালি-বোনারপাড়া সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যাটারি চালিত অটোবাইক ও মটর সাইকেল যথারীতি চলাচল করছে। বিশেষ করে দ্রুত গতির মটর সাইকেলের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের এই সময়ে হেঁটে চলাচল করা লোকজন নানা সমস্যায় পড়ছে। এদিকে শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে মানুষ লকডাউন মানছে না। ফলে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে।
এদিকে লকডাউন কার্যকরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্যদের টহল এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে পঞ্চম দিনে লোকজনের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে। তাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। এছাড়া শহরের পুরাতন বাজার, হকার্স মার্কেটে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে লোকজনকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। অপরদিকে উপজেলা সদরগুলোতে যথারীতি লকডাউন পালিত হয়েছে। তবে যানবাহন ও লোক চলাচল অনেক বেড়েছে। উপজেলা সদরগুলোতেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।