সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ী উপজেলার গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দাখিলের প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন সুষ্ঠ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণ যথাসময়ে স্কুলে উপস্থিত হন না এবং সুষ্ঠভাবে পাঠদান করেন না। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের নিকট থেকে ২শ’ টাকা করে উৎকোচ দাবী করেন। কোন অভিভাবক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সাথে শিক্ষকগণ অশোভনীয় আচরণ করে থাকেন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় অন্যান্য সহকারি শিক্ষকগণও বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতি স্বেচ্ছাচারিতার করে থাকেন। এছাড়াও সম্প্রতি ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাজিব মিয়ার বইপত্র কেড়ে নিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ মিয়া এবং ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে স্থানীয় জনগণের হস্তক্ষেপে ওই শিক্ষার্থীকে বই ফেরৎ দেয়া হয়। ইতোপূর্বে বিদ্যালয়টিতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
অপরদিকে, বিদ্যালয়টিতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথাযগো মর্যাদায় পালন করা হতো। বর্তমানে সেটিও হচ্ছে না। দিবসটি গুলিতে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা হয়ে থাকে। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টিন, রড, ইট, পুরাতন বইসহ বেশকিছু মালামাল বিক্রি করে সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। এ সকল অনিয়ম-দুর্নীতির প্রেক্ষিতে এলাকার ১৫৬জন অভিভাবক গত ২৬ জুলাই পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি তার কোন সুষ্ঠ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।