বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মানব পাচারের মিথ্যা অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলার সাব জজ আদালতের ভূয়া ওয়ারেন্ট দেখিয়ে পলাশবাড়ির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসান আলীকে গ্রেফতার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উপেন্দ্র চন্দ্র দাস বিষয়টি চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালতে যাচাই বাছাই করে গ্রেফতারকৃত হাসান আলীকে জেলহাজতে না পাঠিয়ে তার অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেন। উল্লেখ্য, ওই মামলাতে পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর মোঃ এমদাদুল হক ও তার অপর শিশু পুত্র ৮ম শ্রেণির ছাত্র হোসাইন আলীকেও (১৩) আসামি করা হয়েছে।
এমদাদুল হক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ একজন জনপ্রতিধিনিধি হিসেবে সেবামূলক কার্যক্রম এবং পেশায় কৃষক হিসাবে সুনামের সাথে জীবন যাপন করে আসছেন। মানব পাচারের সাথে তার ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই বলে এলাকাবাসি অবগত আছেন। কিন্তু সম্প্রতি এলাকার একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি, হয়রানী ও তার পরিবারকে ধবংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এমদাদুল হক উক্ত গ্রেফতারী ওয়ারেন্টের বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ওই দুই শিশু পুত্র হাসান আলী, হোসাইন আলী ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম।