শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
সাদুল্লাপুর থেকে খোরশেদ আলমঃ শারীরিক প্রতিবন্ধী জান্নাতী খাতুন। তার পিতা হেলাল মিয়া স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে একটি ভাতাকার্ড পায়নি। এমন কি ইউএনওর নিকট আবেদন করা হলে বিষয়টি আমলে নেয়নি প্রশাসন। অতিদরিদ্র পরিবারের শিশুকন্যা জান্নাতি আক্তার। বয়স সবেমাত্র ৭ বছর। জন্মলগ্ন থেকেই জান্নাতির দু’পা অতি চিকন, তেড়াবাঁকা ও দুর্বল। নিজের পায়ে ভর দিয়ে চলতে পারেনা জান্নাতি খাতুন। অর্থাৎ যাকে বলা হয় শারিরীক প্রতিবন্ধী।
তার পিতা হেলাল মিয়া। বসতভিটা ব্যতিত কোনো জায়গা জমি নেই। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। মাতা পারভীন বেগম। প্রতিবন্ধী জান্নাতির চিকিৎসা সেবার অর্থ যোগানের জন্য অন্যের বাড়িতে ঝি’র কাজ করেন। তার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার অর্ন্তগত ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে। নানা অভাব অনটনে দিন কাটে হেলাল মিয়ার। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকন্যা জান্নাতিকে সুস্থ করতে বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা অব্যহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসা বাবদ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তবে কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না জান্নাতির। ইদানিং জান্নাতির শরিরে নানা রোগে বাসাবেঁধেছে। দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটছে জান্নাতির।
সম্প্রতি চরম বেকায়দায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি। চোখে যেনো শষ্যফুল দেখতে শুরু করেছে। একদিকে পেটের ভাত যোগান, অন্যদিকে জান্নাতির চিকিৎসার খরচ যোগানে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে হেলাল মিয়া ও পারভীন বেগম। অদ্যবধিও প্রতিবন্ধী জান্নাতির খোঁজ রাখেনা কেউ। যেন সমাজের বোঝা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা ও পূণর্বাসনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নানা কর্মসূচী থাকলেও শিশুকন্যা জান্নাতি খাতুন সেইসব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারের এ সুবিধা আদৌ পাবো কী এটাই এখন হেলাল মিয়া ও পারভীন বেগমের প্রশ্ন। তবে সরকারের নানা সুবিধা পেতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারটি। ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা বেশী হওয়ায় জান্নাতিকে ভাতা কার্ড দেওয়া সম্ভব হয় নি।